কিডনিতে পাথর হলে করণীয় কি?

কিডনি দেহের ৭৫% বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাষন করে। কোন কারনে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে এই বর্জ্য পদার্থ নেফ্রনে জমে পাথর তৈরি করে একে nephrolithiasis অথবা kidney stone বলে।urinary tract এর যেকোন জায়গাতেই stone formation হতে পারে বলে একে urinary calculi বা urolithiasis ও বলা হয়।

কিডনির বিভিন্ন বিপাকীয় সমস্যা বা ইউরিনে প্যারাথাইরয়েড হরমোনের উপস্থিত থাকলেও কিডনিতে পাথর হতে পারে।এই পাথরগুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন:

• Calcium Phosphate Stone
• Calcium Oxalate Stone
• Uric Acid Stone
• Magnesium Ammonium Phosphate Stone

কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ:

বিভিন্ন কারনে কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে। এর Dietary Factor গুলোর মধ্যে রয়েছে-

1. দীর্ঘদিন ধরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালসিয়াম,অক্সালেট,ফসফেট,পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করলে।
2. অতিরিক্ত কড়া চা কফি গ্রহন করলে।
3. অতিরিক্ত ভিটামিন সি এবং লবন গ্রহন করলে
4. খাবারে ফাইবার না থাকলে
5. দীর্ঘদিন ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহন করলে
6. সফট ড্রিংস গ্রহন করলে।

কিডনিতে পাথর হলে কি খেতে হবে

কিডনি পাথরের রোগীদের পাথরের প্রকৃতি অনুয়ায়ী খাদ্য গ্রহন করতে হবে। ক্যালসিয়াম,অক্সালেট,ফসফরাস এবং পিউরিন জাতীয় খাবারগুলো এড়িয়ে যেতে হবে।

1.  উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। কারন উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারগুলো ইউরিক এসিড পাথর তৈরির ঝুঁকি বাড়িয়ে ফেলে।
2. পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহন করতে হবে। সব ধরনের অর্গান মিট এড়িয়ে যেতে হবে।
3.  ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার,কাঁটাসহ ছোট মাছ এড়িয়ে যেতে হবে।
4.  ফসফেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন বাদাম,ডাল,সফট ড্রিংক্স,অর্গান মিট ইত্যাদি এড়িয়ে যেতে হবে।
5.  অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন চা,কফি,চকলেট,কচু,আংগুর ইত্যাদি এড়িয়ে যেতে হবে।
6. পর্যাপ্ত পরিমানে পানি গ্রহন করতে হবে।